প্রকাশিত: Tue, Mar 21, 2023 3:51 PM
আপডেট: Tue, May 13, 2025 9:12 PM

কী আশ্চর্য ভারতবর্ষ, কী আশ্চর্য এই বাংলা!

স্বকৃত নোমান : কী আশ্চর্য ভারতবর্ষ। কী আশ্চর্য এই বাংলা! এখানকার দর্শন কেবল মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেনি। প্রকৃতির আর সব প্রাণীকেও দিয়েছে সমান গুরুত্ব। সর্বপ্রাণের অধিকার প্রশ্নে গোটা পৃথিবীবাসী মানুষের সচেতনতা এলো এই তো মাত্র সেদিন। অথচ ইতিহাসপূর্বকাল থেকে বাংলা-ভারতে দেবতারূপে পূজিত হচ্ছে হনুমান। কৃষিজীবী মানুষের প্রথম সঙ্গী গরুকে দিয়েছে মায়ের মর্যাদা। সাপের মতো শত্রুও পূজিত হয় মনসা নামে। দেবতাদের বাহন বানিয়ে ময়ূর, পেঁচা, কাক, সিংহ, কুমির, হরিণ, ইঁদুর প্রভৃতি প্রাণীকে করেছে মহিমান্বিত। 

এই দেশের দর্শন নদীকেও প্রাণবান স্বীকার করে। সে কারণেই নদী পূজিত হয় গঙ্গা নামে। বৃক্ষেরও প্রাণ আছে। সে কারণেই এখানকার মানুষ মহীরূহের সামনে নতজানু হয়, তার ডালে বাঁধে লাল সুতা। পশ্চিম তো গ্রহ আবিষ্কার করল সেদিন। অথচ ভারতবর্ষ বহু বহু শতাব্দী আগে গ্রহসমূহের নামকরণ করে সেগুলোতে একজন করে দেবতাও বসিয়ে দিয়েছে।যে কারণেই বলুন না কেন, সেলুকাসকে সত্যি কথাটাই বলেছিলেন আলেকজান্ডার, ‘কী বিচিত্র এই দেশ!’ লেখক: কথাসাহিত্যিক